Join Group Join Group
---Advertisement---

বাড়িতে বসেই বানিয়ে ফেলুন ড্রাইভিং লাইসেন্স, জেনে নিন ২০২৫ এর ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের সঠিক পদ্ধতি।

Published On: September 22, 2025
Follow Us
---Advertisement---

সরকারি কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রক্রিয়া বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এখন থেকে আপনি বাড়িতে বসে বানিয়ে ফেলতে পারবেন বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স। রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য সবথেকে যে সরকারি নথি অত্যাবশ্যক সেটি হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া আপনি রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবেন না, যদি চালিয়ে থাকেন তাহলে সেটা আইনত অপরাধ হবে। আপনার গাড়ি যদি একটি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে আপনার গাড়ির একটি নির্দিষ্ট পরিচয় পত্র তৈরি হয়। এছাড়াও আপনার গাড়ি চালানোর দক্ষতা প্রকাশ পায় এই নথি থাকার জন্য। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বীমা সুবিধাও পেতে পারেন ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে।

আপনার যদি ১৮ বছর বয়স হয়ে থাকে এবং এখনো পর্যন্ত গাড়ির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করানো হয়নি, তাহলে আপনি বাড়িতে বসে খুব কম সময়ের মধ্যে এটি করিয়ে নিতে পারেন। এতদিন পর্যন্ত বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য RTO অফিসে গিয়ে অনেক ভিড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো যার ফলে অনেক সময় নষ্ট হতো এবং অনেক সময় দালালদের জন্য টাকা খরচ করতে হতো। এই সমস্ত সমস্যা থেকে বর্তমানে সমাধান এসে গিয়েছে। ২০২৫ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনি বাড়িতে বসি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

একটি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন প্রয়োজন:-
আপনার যদি ১৮ বছর হয়ে থাকে এবং রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন কিন্তু গাড়ির কোন বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তাহলে যেকোনো সময় আপনাকে পুলিশ অ্যারেস্ট করতে পারে। ২০১৯ সালের মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাতে দেখলে মোটা অংকের জরিমানা আদায় করা হয় এবং আপনার অনেক ক্ষেত্রে জেল পর্যন্ত হতে পারে। প্রত্যেকটি বিষয়ে যেমন নির্দিষ্ট আইডেন্টিটি প্রুভ থাকে, ঠিক তেমনি আপনার গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট সরকারি আইনি পত্র রয়েছে, যেটা আপনার গাড়ির পরিচয় পত্র হিসেবে কাজ করে।

আরোও পড়ুন:- পূজার ঠিক আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা রাজ্য সরকারের, কবে থেকে বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৫ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইন করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এই আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং দ্রুততর হয়ে গিয়েছে।
এছাড়া এখন ডাইভিং লাইসেন্স শুধু মাত্র কাগজের সীমাবদ্ধ নয়, DigiLocker এবং mParivahan অ্যাপের মাধ্যমে লাইসেন্স এখন ডিজিটালি বহনযোগ্য। এর ফলে হারানোর কোন সম্ভাবনাই থাকছে না। এছাড়া আপনাকে সঙ্গে করে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যেতে হবে না। আপনার ফোনের মধ্যেই এটি সংরক্ষণ করা যাবে।
এমনকি লারনার টেস্ট আপনি বাড়িতে বসে দিতে পারেন যদি আপনার আধার কার্ড লিঙ্ক করা থাকে।

কত ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়

১) লার্নার লাইসেন্স (Learner’s Licence): যারা নতুন গাড়ি চালানো শিখছেন তাদের জন্য ছয় মাসের একটা অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়া হয়। এর জন্য আপনাকে লার্নার লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে।
২) স্থায়ী লাইসেন্স:- সফলভাবে ড্রাইভিং টেস্ট পাশ করার পর এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়।
৩) কমার্শিয়াল লাইসেন্স :-ট্রাক, বাস, ট্যাক্সি এগুলো চালানোর জন্য অর্থাৎ পেশাদারত্ত্বের জন্য যদি কোন গাড়ি চালিয়ে থাকে তার জন্য কমার্শিয়াল লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।
৪) আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স :- বিদেশে গাড়ি চালানোর জন্য বা খুব হেভি ওয়েটের গাড়ি চালানোর জন্য এই লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন প্রক্রিয়া

১) প্রথমে অফিসিয়াল পোর্টাল parivahan.gov.in প্রবেশ করুন। এরপর আপনার মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।
২) রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
৩) এরপর আপনি আপনার রাজ্য নির্বাচন করুন। এরপর আপনি যে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে চাইছেন সেখানে ক্লিক করুন।
৪) এরপর আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য নাম, জন্ম তারিখ ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য পূরণ করুন।
৫) এরপর বেশ কিছু প্রয়োজনও ডকুমেন্টস যেমন আধার কার্ড, জন্ম সনদ, ঠিকানার প্রমাণ, ফটো এগুলো ক্যান করে আপলোড করুন।
৬) এরপর নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে সাবমিট করুন।
৭) আপনি অনলাইন টেস্ট দিতে পারেন বা স্লট বুক করে RTO অফিসে টেস্ট দিন।

এক্ষেত্রে আপনি বাড়িতে বসেও টেস্ট দিতে পারবেন।এখান থেকেই আপনি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন বা আবেদন জানাতে পারবেন।
২. আপনার রাজ্য নির্বাচন করুন এবং Learner’s Licence-এর জন্য আবেদন করুন। আপনি এখানে লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানাতে পারেন।
৩. আবেদন জানানোর সময় আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য যেমন নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য পূরণ করুন।
৪. এরপর বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (আধার, জন্মসনদ, ঠিকানার প্রমাণ, ফটো) আপলোড করুন।
৫. নির্দিষ্ট ফি অনলাইনে জমা দিন।
৬. অনলাইন টেস্ট দিন বা স্লট বুক করে RTO অফিসে টেস্ট দিন। এক্ষেত্রে আপনি বাড়িতে বসেও টেস্ট দিতে পারবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কতদিন সময় লাগে :-
লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ৩০ দিন পর আবেদনকারী RTO অফিসে ড্রাইভিং টেস্ট দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ৬ মাস টাইম দেওয়া হয় এবং এই ৬ মাসের মধ্যে যেকোনো সময় আপনি নিজে ইচ্ছামত স্লট বুকিং করে টেস্ট দিতে পারেন। গাড়ি চালানোর প্র্যাকটিক্যাল টেস্টে পাশ করলেই আপনি স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ড্রাইভিং টেস্টে কি কি পরীক্ষা নেওয়া হয় :-
১) আপনি সঠিকভাবে ক্লাচ, ব্রেক, গিয়ার ব্যবহার করতে পারছেন কিনা সেই টেস্ট নেওয়া হয়।
২) চার চাকার ক্ষেত্রে ব্যাক গিয়ার ও U-turn সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছেন কিনা সেটা চেক করা হয়।
৩) সঠিক ট্রাফিক নিয়ম এবং ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা সেটাও দেখা হয়।

বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ভীষণ কড়াকড়ি করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া যদি আপনি আসতে গাড়ি নিয়ে বেরুন তাহলে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়বেন, জরিমানা থেকে শুরু করে জেল পর্যন্ত হতে পারে। এইজন্য রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোনোর আগে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে নিন। যদি আপনি প্রথম গাড়ি চালানো শিখছেন তবুও লার্নার লাইসেন্স করিয়ে নেওয়া বাধ্যতামূলক। বর্তমানে যেহেতু বাড়িতে বসেই আপনি এই সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন তাই আর দেরি না করে খুব শীঘ্রই আপনার গাড়ির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now