রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে তরুণদের স্বপ্ন প্রকল্প একটি অভিনব প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের পড়াশোনা সুবিধার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয় ট্যাব কেনার জন্য। প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্য পড়ুয়াদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়ে যেতো। কিন্তু গত বছর অনেক ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা চলে যাওয়ায় আসল পড়ুয়াদের ব্যাংকে টাকা ঢোকেনা। এরকম সমস্যার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে আরও বেশি নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই রকম নতুন নিয়ম অনুযায়ী এইবার সেপ্টেম্বরে টাকা ঢোকানোর কথা ছিল। কিন্ত নতুন নিয়মে আরও উল্টো ফল দেখা দিলো। এখন কোনো পড়ুয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা ঢুকতেই পারছেনা। নতুন করে তথ্য যাচাই করা হবে, তারপর টাকা পাবে পড়ুয়ারা। কবে নতুন তথ্য জমা নেওয়া হবে, টাকা কবে পাওয়া সম্ভাবনা আছে সমস্ত তথ্য জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে।
গত বছর সেপ্টেম্বরের সময়ে একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ব্যাংক একাউন্টে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ট্যাব কেনার জন্য। কিন্তু এ বছর অক্টোবর মাস পরে যাওয়াতে এখনো পর্যন্ত ঢোকেনি এই প্রকল্পের টাকা। এই নিয়ে চিন্তিত পড়ুয়া থেকে রাজ্য সরকার। যেহেতু গতবছর এই প্রকল্পের বেশিরভাগ টাকা প্রতারদের একাউন্টে চলে যায় নতুন নিয়মে আরো বেশি সতর্কীকরণ করার জন্য তথ্য যাচাই-করন পদ্ধতি চালু করা হয়, কিন্তু এ নতুন পদ্ধতিতে আরো বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন নতুন করে তথ্য জমা নেওয়া হবে স্কুলের তরফে পড়ুয়াদের কাছ থেকে। সেই নতুন তথ্য যাচাই করে দেখবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যেক একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে আবার নতুন করে আধার কার্ড তথ্য এবং ব্যাংক একাউন্ট তথ্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে কাজে জমা দিতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত নথি নতুন করে যাচাই করবেন। এরপরেই নতুন তালিকা তৈরি করে, সাবমিট করা হবে রাজ্য সরকারকে। পড়ুয়াদের সমস্ত নথি ঠিকঠাক থাকলেই তবে এই নতুন করে টাকা পাঠানো হবে। অর্থাৎ নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করে টাকা পাঠাতে পাঠাতে অক্টোবরের শেষ কেমন নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
যাতে আর কোনরকম ভাবে টাকা ট্রান্সফার নিয়ে সমস্যা তৈরি না হয়, এই জন্যই এত নিয়মবিধি এবং সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। অর্থাৎ পড়ুয়াদের এই বছর তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের ২০ হাজার টাকা পেতে আরো কিছুটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।
আরোও পড়ুন:- ডলারের ‘দাদাগিরি’ এখানেই শেষ! ভারতীয় মুদ্রাতেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সিদ্ধান্ত RBI-র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন যাতে কোনভাবে প্রতারকদের দ্বারা এই প্রকল্পের টাকা হস্তান্তরিত না হয়। এজন্য আধার ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নথি খুবই সতর্কতা ও নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে খুঁটিয়ে মেলানো হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে পড়ুয়াদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হবে। অর্থাৎ দেরি হলেও কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। সম্পূর্ণ ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনা করার পরেই এই বছর তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের অনুদান ছাড়া হবে।