বাইনান্সের প্রতিষ্ঠার কাছে ক্ষমা চাইলেন “ডোনাল্ড ট্রাম্প” এই বক্তব্যে কি বললেন ফাইন্যান্সের মালিক

সম্প্রতি ফাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চাংপেং সিজেড ঝাও-র ওপর মার্কিন আইন ব্যাংকিং লঙ্ঘনের জন্য তার ফৌজদারি দোষী সাব্যস্ততা বাতিল করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফাইন্যান্সের মালিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। ঝাউ অর্থ পাচার বিরোধী সুরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছেন, হোয়াইট হাউস থেকে যো বাইডণের ক্রিপটো কারেন্সির বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংশোধন হিসেবে উপস্থাপন করেছদ। 

ফাইন্যান্স এর মালিক চাংপেং সিজেড ঝাও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর ওপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ক্ষমা করেছে ক্রিপ্তকারেন্সি বিলিয়নারের ফৌজদারি দোষ মুছে ফেলেছে ফাইন্যান্সের মালিক এর আগে চার মাস জেল খেটেছিল এই আইনের জন্য, বাইনান্সের মালিক চাংপেং সিজেড ঝাও ২০২৩ সালে ব্যাংকিং গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়। ২০১৭ সাল থেকে তিনি প্রতিষ্ঠিত ফাইনান্স এর মালিক হিসেবে এবং ফাইন্যান্সের সিইও হিসেবেই পরিচিত তাকে এই শিওর পথ থেকে পদত্যাগ করানোর জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে এবং কারন্দো ভোগ করতে সম্মতি হন। 

আজকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ক্ষমা চাওয়ার জন্য তিনি ডোনাল্ড ট্রাম কে বলেছেন ন্যায়বিচার ন্যায্যতা ও সত্যের জয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি তার টুইটার হেন্ডেলে একটি টুইট করেছে। এবং তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ভবিষ্যতে তিনি মার্কিন আইন মেনে চলবে ও তার উপার্জনের অর্থ বেশ কিছু চারিদিকে ডোনেট করবে আমেরিকার আর্থিক উন্নয়নকে আরো জোরালো ভাবে শক্তিশালী গড়ে তোলার জন্য। 

আরোও পড়ুন:- ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে লাভা ‘অগ্নি’ সিরিজের নতুন মডেল, কি কি ফিচারস থাকছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, এই ক্ষমা প্রদানের সিদ্ধান্তটি মূলত পূর্ববর্তী প্রশাসনের “অতিরিক্ত ও অযৌক্তিক পদক্ষেপ” সংশোধনের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “ঝাও ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের পরিচালিত রাজনৈতিক অভিযানের শিকার হয়েছিলেন।”

লিভিটের বক্তব্য অনুযায়ী, বাইডেন প্রশাসন ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পকে দমন করার প্রচেষ্টায় এমন একজন ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল, যিনি কোনও প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন না এবং যার বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট ভুক্তভোগীর অভিযোগও ছিল না। তিনি আরও যোগ করেন, “বাইডেন প্রশাসন মিঃ ঝাওকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিতে চেয়েছিল — যা প্রচলিত সাজা নির্দেশিকার তুলনায় এতটাই অস্বাভাবিক ছিল যে বিচারক নিজেই মন্তব্য করেছিলেন, তার তিন দশকের কর্মজীবনে এমন ঘটনা আগে কখনও শোনেননি।”

লিভিটের মতে, এই পুরো ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক নেতৃত্বের ভাবমূর্তি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন,

“বাইডেন প্রশাসনের ক্রিপ্টো বিরোধী যুদ্ধ আজ শেষ হলো।”

অন্যদিকে, এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যখন ঝাওকে ক্ষমা করার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তিনি জানান যে এটি মূলত সমর্থকদের অনুরোধেই করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন,

“অনেক মানুষ আমাকে বলেছিল যে সে প্রকৃতপক্ষে কোনো অপরাধ করেনি। সে মাত্র চার মাস কারাভোগ করেছে, এবং তারা বলেছিল যে বাইডেন প্রশাসন তাকে অন্যায়ভাবে বিচার করেছিল।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি মনে করি না যে আমি কখনও তার সঙ্গে দেখা করেছি, কিন্তু আমাকে বলা হয়েছিল যে সে অনেকের সমর্থন পেয়েছে, এবং তার কাজ কোনও অপরাধ নয়। তাই অসংখ্য ভালো মানুষের সুপারিশে আমি তাকে ক্ষমা করেছি।”

Join Group Join Group