কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ বৃত্তি প্রদান করে থাকে। রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকার স্কলারশিপ চালু করেছেন দুস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। অনুরূপভাবে কিছু বেসরকারি সংস্থাও মেধাবী পড়ুয়াদের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করার জন্য এবং পড়াশোনা করে সার্বিক উন্নয়নের জন্য স্কলারশিপ চালু করে থাকে। কর্ণাটক সরকার, আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়, মেয়ে পড়ুয়াদের জন্য দীপিকা স্টুডেন্ট স্কলারশিপ চালু করেছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার মেয়েকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। আপনি যদি এই স্কলারশিপে আবেদন করে থাকেন তাহলে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়ার সুবিধা পাবেন। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে মেয়েরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সুবিধা পাবে। এটি স্নাতক, পেশাদার বা ডিপ্লোমা কোর্সে তরুণী পড়ুয়াদের বার্ষিক ৩০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।
এই স্কলারশিপের বৈশিষ্ট্য :-
১) এটি শুধুমাত্র তরুণী পড়ুয়াদের জন্যই স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে।
২) ডিগ্রি কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক বছর আর্থিক অনুদান পাবেন।
৩) আর্থিকভাবে বঞ্চিত পড়ুয়াদের এই স্কলারশিপের মাধ্যমে তাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা হবে।
৪) প্রত্যেক বছর ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হয়।
৫) ২০২৫ ২৬ অর্থবর্ষে ৩৭ হাজার তরুনী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। তবে যদি এর চেয়েও বেশি আর্থিকভাবে বঞ্চিত তরুণী থেকে থাকে তাহলে তাদেরকেও স্কলারশিপের আওতায় আনা হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া :- আবেদন করার জন্য কর্ণাটক সরকারের দীপিকা স্টুডেন্ট স্কলারশিপ এর অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং উল্লেখিত ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। এরপর সাবমিট করলেই আবেদন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে।
আরোও পড়ুন:- বাড়িতে বসেই আবেদন করুন বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য, জেনে নিন আবেদনের সহজ পদ্ধতি
রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে, অর্থাৎ ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
কর্ণাটক সরকার আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই বৃত্তি চালু করার মাধ্যমে এই প্রকল্প আরো বিস্তার ঘটাতে চাইছে, যার ফলে আরও বেশি করে আর্থিকভাবে বঞ্চিত তরুণী পরোয়ারা উচ্চ শিক্ষার গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে স্কলারশিপ চালু করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আর্থিকভাবে বঞ্চিত তরুণীদের আর্থিক বাধা পড়াশোনার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেনা। যে সমস্ত দুস্থ অথচ মেধাবী পড়ুয়া রয়েছেন যারা উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখেন তাদের স্বপ্নপূরণের চাবিকাঠি হতে চলেছে এই স্কলারশিপ।