আপনি কি দিঘা যাওয়ার প্ল্যান করছেন? এদিকে ট্রেনে উঠলেই চরম ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা, কেনো এই সমস্যা

কাছে পিঠের মধ্যে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের দেখার বিশেষ জায়গা হল দীঘা। ভ্রমণ পিপাসু মানুষ এক থেকে দুই দিনের ছুটি পেলেই একঘেয়েমি কাজের ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে সমুদ্র যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। সমুদ্রের এই ডাক অপেক্ষা করতে না পেরে হাজার হাজার ভ্রমণকারীরা দীঘার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দুর্গাপুজোর সময় এবং বিজয়ার পরে দীঘায় ভ্রমণকারীদের ভিড় উপচে পড়েছিল। কিন্তু দীঘা যাওয়ার ট্রেনে কি এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে যার জন্য নিত্যযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে? আপনিও কি দীপাবলির ছুটিতে দীঘা যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে জেনে নিন দিঘা যাওয়ার ট্রেনে কোন সমস্যা দেখা দিয়েছে? আপনিও দিঘা যাওয়ার জন্য প্ল্যান করলে কোন ভোগান্তি পোহাতে হবে? সেই তথ্যই আজকে তুলে ধরব আপনাদের সামনে। 

হলদিয়া থেকে পাঁশকুড়া এবং পাঁশকুড়া-দিঘা দুই রেলপথে ট্রেনে যাতায়াত করা যাত্রীদের কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। লোকাল ট্রেন থেকে দূরপাল্লার ট্রেন কয়েক ঘন্টা লেটে আসলে যাত্রীদের অনেক রকম সমস্যায় পড়তে হয়। হলদিয়ায় যাওয়া আসা করা কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া অর্থাৎ নিত্যযাত্রীরা এবং দীঘায় যাতায়াত করা পর্যটকদের লেট ট্রেনের কারণে অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে এবং ভোগান্তি হচ্ছে। কিন্তু এত সময় ধরে ট্রেন লেট হচ্ছে কেন? 

পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষজন এই দুই রেলপথের ট্রেনকে লেট ট্রেন বলে আখ্যায়িত করে দিয়েছে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট লেট নয় একেবারে ২ থেকে ৩ ঘন্টা অন্তর ট্রেন আসছে। প্রত্যেকদিন নিত্যযাত্রীদের এই জন্য দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। কারখানায় যাওয়া শ্রমিকদের কারখানায় পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। কাজ শুরু করতে যার জন্য দেরি হয়ে যাচ্ছে এবং লেট মার্কিং পড়ছে তাদের কাজে। স্কুল পড়ুয়া থেকে কলেজ পড়ুয়াদের স্কুল ও কলেজে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে যে সমস্ত পর্যটক দিঘার উদ্দেশ্যে ভ্রমন করছেন তাদেরও অনেকটা সময় দেরি করে দীঘায় পৌঁছাতে হচ্ছে। 

আরোও পড়ুন:- গেমারদের জন্য বড় খুশির খবর, মোবাইলে ইনস্টল করা যাবে সহজ  জনপ্রিয় ব্যাটল রয়্যাল গেমগুলি।

নিত্য যাত্রীরা জানিয়েছেন, একে তো পূর্ব মেদিনীপুরের রেল পথের ট্রেনের সংখ্যা এমনি কম। এরমধ্যে ট্রেন লেটের কারণে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। 

পূর্ব মেদিনীপুরের নিত্যযাত্রীরা ইতিমধ্যে অভিযোগ জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষকে, অনেক সময় পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকছে। লোকাল ট্রেনের মধ্যে কোন শৌচালয় না থাকার জন্য অনেক দূর পর্যন্ত যাতায়াতের কারণে প্লাটফর্মে যাত্রীরা নামতেই কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে ট্রেনের সংখ্যা কম থাকায় ট্রেন লেট হওয়ার কারণে আরো সমস্যা ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কোন কর্ণপাত করছেন না। 

অন্যদিকে, ট্রেনের ভেন্ডারে ফল, আনাজ, দুধ, ছানা ব্যবসায়ী পণ্য নিয়ে শিল্প শহরে আসেন ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে। ট্রেন ২ থেকে ৩ ঘন্টা দেরিতে আসার জন্য সময় মতো তারা বাজারে পৌঁছাতে পারছেন না বলে অনেকেই সব পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না। তাদের লাভ ব্যবসা থেকে হচ্ছে না বললেই তারা জানিয়েছেন। অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

বোঝাই যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরেই পূর্ব মেদিনীপুরের ২ রেলপথে হলদিয়া পাঁশকুড়া এবং পাঁশকুড়া দীঘা লাইনে ট্রেনের সংখ্যা কম থাকা এবং ট্রেন দুই থেকে তিন ঘন্টা দেরি করার জন্য নিত্য যাত্রী, ব্যবসায়ী, কলেজ পড়ুয়া এবং পর্যটকদের বহুল সমস্যা হচ্ছে। 

রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কবে এই সমস্যার সুরাহা হবে এ ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে দীঘায় পর্যটকদের ভিড় আরো বেড়ে যাচ্ছে বলে এই সমস্যার জটিল আকার ধারণ করছে।

Join Group Join Group