Join Group Join Group
---Advertisement---

বাড়িতে বসেই আবেদন করুন বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য, জেনে নিন আবেদনের সহজ পদ্ধতি

Published On: September 27, 2025
Follow Us
---Advertisement---

সরকারি অফিসিয়াল কাজে যে সমস্ত ডকুমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হল বার্থ সার্টিফিকেট। এই বার্থ সার্টিফিকেট একজন ব্যক্তির শুধুমাত্র পরিচয় পত্র হিসেবেই ব্যবহৃত হয় তা নয়, নাগরিকত্ব প্রমাণ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই সার্টিফিকেট পাসপোর্ট তৈরি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্কুলে কলেজ এডমিশনের ক্ষেত্রে, আধার কার্ড তৈরিতে, চাকরির জয়েনিং এর সময় এমনকি অন্যান্য অনেক অফিশিয়াল কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হিসেবে পরিগণিত হয়। শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যেই বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হয়। এতদিন পর্যন্ত সার্টিফিকেটের আবেদন করতে হলে পৌরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে আবেদন জানাতে হতো। এর ফলে যেমন অনেক সময় প্রয়োজন হতো তেমন অনেকটা পরিশ্রম হত। বর্তমানে যেকোনো সরকারি অফিসিয়াল কাজ ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এর মধ্যে সংযোজন হয়েছে বার্থ সার্টিফিকেট আবেদন প্রক্রিয়া। আপনি এখন থেকে বাড়িতে থেকেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে অনলাইন মাধ্যমে বার্থ সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে পারেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনার আবেদন প্রক্রিয়া হয়ে যাবে। বার্থ সার্টিফিকেট আবেদন করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

যদি কোন শিশুর জন্ম সরকারি হাসপাতালে হয় তাহলে হাসপাতাল থেকেই শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যদি কোন শিশু বেসরকারি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে তবে আলাদা করে ২১ দিনের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানাতে হয়। ২১ দিন অতিক্রম হয়ে গেলে সেখানে আরো কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় আবেদনের জন্য।

বর্তমানে অফলাইন এবং অনলাইন দুটি মাধ্যমেই বা সার্টিফিকেট তৈরি করা যাচ্ছে। অনলাইন আবেদন করলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যায়। পৌরসভার অফিস বা রেজিস্টার অফিস থেকে আপনি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। এছাড়া খুব প্রয়োজন হলে আপনি বার্থ সার্টিফিকেট কপিটি ডাউনলোড করে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন।

আরোও পড়ুন:- বাড়িতে বসে মৃত্যু শংসাপত্রের জন্য আবেদন করবেন কিভাবে? জেনে নিন সহজ পদ্ধতি।

বার্থ সার্টিফিকেট আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো কি কি :-
১) শিশুর জন্মের হাসপাতালের রেকর্ড
২) মা ও বাবার আধার কার্ড, রেশন কার্ড অথবা বসবাসের প্রমাণ
৩) টিকাকরণের কার্ড বা আঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের সার্টিফিকেট
৪) প্রয়োজনে স্কুল সার্টিফিকেট বা হলফনামা (প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে)

কোন কোন ক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ে :-
১) আধার কার্ড তৈরিতে
২) স্কুল কলেজে এডমিশনের ক্ষেত্রে
৩) ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে
৪) পাসপোর্ট তৈরিতে
৫) বিবাহ রেজিস্ট্রেশন
৬) ভোটার কার্ড তৈরিতে
৭) রেশন কার্ড তৈরিতে
৮) ব্যাংক একাউন্ট খুলতে
৯) স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে

অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া :-
১) প্রথমে আবেদনকারীকে Birth Certificate-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইন আপ করতে হবে।
২) এরপর মোবাইল নাম্বার এবং বৈধ ইমেইল আইডি প্রয়োগ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে এবং ইমেইলে পাওয়া লিঙ্ক থেকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে।
৩) এরপর আবেদন পত্র নিজের তথ্য পূরণ করে উল্লেখিত ডকুমেন্ট ক্যান করে আপলোড করে সমস্ত আবেদনপত্র একবার ভালো করে দেখে নিয়ে সাবমিট অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর এই আবেদন পত্রের একটি প্রিন্ট কপি রাখতে হবে নিজের কাছে পরবর্তী রেফারেন্সের জন্য।
এরপর আপনাকে অফলাইনে ফর্ম ও নথির প্রিন্ট কপি সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা রেজিস্ট্রারের ঠিকানায় জমা দিতে হবে এবং রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। রেজিস্ট্রার কর্তৃক যাচাইয়ের পর ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে Birth Certificate প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং তা অনলাইনেও ডাউনলোডযোগ্য হবে। এরপরে আপনি রেজিস্টার অফিস বা পৌরসভা থেকে বার্থ সার্টিফিকেট ডিজিটাল কপিটি পেয়ে যাবেন।

তাহলে এখন থেকে আর অফলাইনে পৌরসভা বা রেজিস্টার অফিসে সময় নষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে আপনার বাচ্চার জন্য বার্থ সার্টিফিকেটের আবেদন করতে হবে না। আপনি অল্প সময়ের মধ্যে বাড়িতে বসে খুব সহজ পদ্ধতিতে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেট করিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী, কারণ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করে নেওয়াটাই উপযুক্ত কাজ।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now